সংবাদ বিজ্ঞপ্তি::
মাত্র ১০৬ দিনে তিরিশ পারা কুরআন হিফজ করে চমক দেখাল এনামুল হক। তার বয়স ১১ বছর। পিতা হাফেজ ছলিম উল্লাহ সৌদি প্রাবাসী। মা মরহুমা রোকেয়া বেগম। বাড়ী কক্সবাজার সদরের ইসলামাবাদ সাতজুলা কাটা এলাকায়। কুরআনের পাখি হাফেজ এনামুল হক তানযীমুল উম্মাহ হিফজ মাদরাসা কক্সবাজার শাখার ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র। সে তিন ভাইয়ের সবার বড়। বড় হয়ে নিজেকে একজন আমলদার আলেম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চায় হাফেজ এনামুল হক।
সোমবার (৬ নভেম্বর) সন্ধ্যা বেলায় কথা হয় ১০৬ দিনের হাফেজে কুরআন এনামুল হকের সঙ্গে। প্রথমে সে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জানায়। এরপর বলে, ‘দিনের পড়া শেষ করে যখন বন্ধুরা ঘুমিয়ে পড়তো, তখন আমি না ঘুমিয়ে পড়তে থাকতাম। আগ্রহ ছিল কম সময়ে কিভাবে কুরআন মুখস্ত করা যায়। সেই আগ্রহ থেকে অনেক সময় রাত জেগে পড়তাম। আবার সবার আগে সকালে ঘুম থেকে ওঠে যেতাম। আমি ভাল মানের একজন আলেম হতে চাই।’
হাফেজ এনামুল হক শিক্ষকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে জানায়,‘ আমার ফলাফলের পেছনে অধ্যক্ষ হাফেজ রিয়াদ হায়দার ও শ্রেণী শিক্ষক দেলোয়ার হোসাইনের তদারকি বেশী ছিল। শিক্ষকরা আমাকে শাসনের চেয়ে বেশী সোহাগ করতেন। পড়তে বেশী উদ্বুদ্ধ করেছেন।’
মাদরাসার অধ্যক্ষ হাফেজ রিয়াদ হায়দার বলেন, ‘এনামুল হক খুবই অমায়িক ও মেধাবী ছাত্র। পড়ার জন্য তাকে কোন দিন চাপ দিতে হয়নি। তিন মাস আগে সে মাদরাসায় ভর্তি হয়েছিল। অধ্যক্ষ আরো বলেন, এনামুল হক পড়ালেখার পাশাপাশি ক্রিড়া ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে পারদর্শী। গত বার্ষিক অনুষ্ঠানে কবিতা আবৃত্তি, ক্বেরাত, গজলসহ সে একাই ৫টি পুরস্কার জিতেছে। তার মেধা, বৃদ্ধি ও চরিত্র অনুসরণ করার মতো।’
উল্লেখ্য, এর আগে তানযীমুল উম্মাহ হিফজ মাদরাসা কক্সবাজার শাখার ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র ইয়াসিন আরাফাত মাত্র ৮৫ দিনে কুরআনে হাফেজ হয়ে দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করেছে। মূলতঃ এই অনুপ্রেরণা থেকে এবার ১০৬ দিনে কুরআন মুখস্ত করে দ্বিতীয় নজির হয়ে রইলো হাফেজ এনামুল হক।
পাঠকের মতামত